সোমবার বাদ যোহর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় মুক্তাগাছা পৌর শহরের নাপিতখোলা এলাকায় রেজুন সাহেবের ধানের খলায়। পরে দ্বিতীয় জানাজা তার গ্রামের বাড়ি মহিষতারা এলাকায় সম্পন্ন হয়। জানাজায় ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি, মুক্তাগাছা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
রাজনৈতিক জীবনে সাইদুর রহমান ফরাজী ছিলেন মুক্তাগাছার ত্যাগী, সংগ্রামী এবং নির্ভীক এক নাম। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে যুবদলের নেতৃত্বে আসা পর্যন্ত তিনি সবসময়ই গণতন্ত্র ও সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিবেদিত থেকেছেন। সহকর্মীরা জানিয়েছেন, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত তিনি দল ও মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন।
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু বলেন, “সাইদুর ছিলো ছাত্রদল ও যুবদলের ইতিহাসের একটি উজ্জ্বল অধ্যায়। অল্প বয়সে জায়গা করে নিয়েছিলো মুক্তাগাছার রাজনীতিতে তার মতো পরিশ্রমী, ত্যাগী ও সাহসী নেতার অভাব আমাদের রাজনীতিতে গভীর শূন্যতা তৈরি করবে।
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান রোকন বলেন,সাইদুর ফরাজী আমার খুবই স্নেহের ছোট ভাই ছিল,রাজনীতিতে তার পদচারনা ছিলো চোখে পরার মতো,মুক্তাগাছার মানুষ থেকে শুরু করে মুক্তাগাছা বিএনপি সাইদুর মনে রাখবে।তার আত্তার মাগফেরাত কামনা করি।
সাবেক সংসদ সদস্য ও মুক্তাগাছা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু রেজা ফজলুল হক বাবলু বলেন,সাইদুর আমার অত্যন্ত নিকটতম প্রতিবেশী।সাইদুর রাজনৈতিক বিগত জীবনে ১৫ বছর ফ্যাসিবাদী সরকার এর বিরুদ্ধে আন্দোলনের সহযোদ্ধা ছিল।অত্যন্ত ভাল মানসিকতার মানুষ ছিলো সাইদুর।আল্লাহ তাকে জান্নাত বাসী করুন।
সাইদুর রহমান ফরাজীর রাজনৈতিক পথচলা ছিল সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিত। শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের ছাত্রনেতা থেকে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে দায়িত্ব পালন পর্যন্ত তিনি সবসময়ই ছিলেন সাহসী ও গ্রহণযোগ্য নেতৃত্বের প্রতীক।
তার মৃত্যুতে মুক্তাগাছার রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নেতৃবৃন্দ মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা ও সমবেদনা জানান।
0 Comments