ফুলবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক গর্ভবর্তী নারীকে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে। বীভৎস এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) অভিযুক্ত আরেক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রুকনুজ্জামান।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী জানায়, উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের জোরবাড়ীয়া পূর্ব ভাটিপাড়া গ্রামের মো রফিক এর ৮ মাসের অন্তঃসত্ত¡া স্ত্রী নারগিস (৩৫) এর সঙ্গে প্রতিবেশী সুফিয়া খাতুন ওরফে কাইল্ল্যামাদের ছাগল নিয়ে ঝগড়াঝাটি হয়। যা গত ১৫ আগস্ট সন্ধ্যায় মারামারিতে রুপ নেয়। এমতাবস্থায় গর্ভবতী ওই নারীকে সুফিয়া খাতুনের নেতৃত্বে কিছু সংখ্যক লোকজন এলোপাথাড়ি মারপিট ও পেটে লাথি মেরে গুরুতর আহত করে। এত তাৎক্ষণিকই গর্বভতী নারীর রক্ত ক্ষরণ শুরু হয়।
পরদিন সকালে অসুস্থ ওই নারীকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রাক্কালে তার গর্ভপাত ঘটে। পরে গর্ভবতী নারী ও তার গর্ভজাত মৃত সন্তানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানকার চিকিৎসক ভুক্তভোগী নারীকে ওসিসি বিভাগে ভর্তি নেন ও মৃত বাচ্চার সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী মো. রফিক বাদী হয়ে একই গ্রামের ইয়াকুব আলীর স্ত্রী সুফিয়া খাতুন ওরফে কাইল্ল্যা মা (৫০) কে প্রধান আসামী করে ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা জানান, ছাগলের শরীরে কাদামাটি দেওয়াকে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও মারামারি হয়। এসময় ওই নারীকে আঘাত করায় তার গর্ভপাতের ঘটনা ঘটে। এটি খুবই ন্যাক্কারজনক ও দুঃখজনক।
এ বিষয়ে ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রুকনুজ্জামান বলেন, গর্ভস্থ নারীর জীবন্ত অজাত শিশুর প্রাণহানীর ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
0 Comments