মুক্তাগাছা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের নন্দীবাড়ী স্টেডিয়াম এলাকার হোল্ডিং নং-০২৬০-০১, উর্মি শর্মি হাউজ, তিন তলা ভবনের ২য় তলায় ২ ইউনিটে ১ মেয়ে নিয়ে বসবাস করেন আছমা খাতুন। তার স্বামী ইসমাইল হোসেন মালয়েশিয়া প্রবাসী। রবিবার সকালে আছমা খাতুন বাসায় তালা লাগিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাজারে যান। এ সময় চুরেরা বাসার পিছন দিয়ে প্রবেশ করে গেটের তালা ভেঙ্গে বাসায় ঢুকে। মূল কক্ষের দরজার হেজবুল ড্রিল মেশিন দিয়ে কেটে কক্ষে ঢুকে স্টিলের আলমারি ও ওয়ারড্রপের তালা ভেঙ্গে ২০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। আছমা খাতুন বাজার থেকে এসে বাসায় ঢুকে মূল গেটের তালা ভাঙ্গা দেখে উপরে দু’তলায় গিয়ে তার ঘরের দরজার তালা ভাঙ্গা অবস্থায় দেখতে পান। ঘরের ভিতর স্টিলের আলমারি, ওয়ারড্রপ খোলা এবং ভিতরের জিনসপত্র এলোমেলো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে দেখতে পান। তার আলমারি ও ওয়ারড্রপে থাকা ৫টি গলারহার, ৫ জোড়া কানের দুল, ৩ জোড়া হাতের বালা, ৪ জোড়া কানের পাশা, ৬টি আংটি ও ২টি ব্যাসলেট সব মিলিয়ে ২০ ভরি স্বর্ণ ও কিছু রূপার অলংকারসহ নগদ ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে।
এ ব্যাপারে আছমা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, আমি সকাল ৯টা ৪৮ মিনিটে বাসার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বাজারে যাই। সকাল ১১টার দিকে বাজার থেকে বাসার সামনে এসে দেখি গেটের তালা ভাঙ্গা। গেট খুলে উপরে উঠে দেখি ঘরের দরজার হেজবুল কাটা এবং দরজা খোলা। ঘরের ভিতর আলমারি, ওয়ারড্রপ খোলা, ভিতরের জিনসিপত্র এলোমোলো ভাবে বিছানায়, মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তিনি জানান, আলমারিতে আমার, আমার দুই মেয়ের গলারহার, কানেরদুল, হাতের বালা, কানের পাশা, আংটি, ব্যাসলেট আরও রূপার কিছু অলংকারসহ নগদ ১০ হাজার টাকা চুরেরা নিয়ে গেছে। আমার স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী। দীর্ঘদিনে তিল তিল করে জমানো সম্পদ চুরেরা নিয়ে গেল।
উল্লেখ্য ইতিপূর্বে মুক্তাগাছা শহরের একাধিক বাসায় চুরির ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ রিপন চন্দ্র গোপ জানান, চুরির ঘটনা শুনে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
0 Comments