তারিকুল ইসলাম : মুক্তাগাছা উপজেলার দাওগাঁও ইউনিয়নের বটতলা বাজারের হাসপাতালের কোণা ঘেঁষে বেড়ে উঠেছিল একটি শিমুল গাছ। এই গাছের বেড়ে উঠা দেখেছে এই এলাকার মানুষ। শিমুল ফুল সৌন্দর্যমন্ডিত হওয়ায় গাছটির যত্নও নিতো অনেকেই। বসন্তের সময় এর লাল টুকটুকে ফুলে সৌন্দর্য বেড়ে যেত বাজারের।
কিন্তু কালের পরিক্রমায় বয়স বাড়ার সাথে সাথে গাছটিতে দেখা দেয় মড়ক। প্রথমে গাছের পাতা, কান্ড, শাখা-প্রশাখায় দীর্ঘদিন রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে পচন ধরে। দু চারটা ডাল-পালা ভেঙেও পড়ে। গাছটি এখন মরা কাঠে পরিনত হয়েছে। যেকোন সময় এটি ভেঙে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। যার দরুন গাছের নিচ দিয়ে চলাচলের সময় পথচারীরা আতঙ্কে থাকে। কখন যেন ঢাল ভেঙে পড়ে।
শত বর্ষীর মরা শিমুল গাছটি এখন যেন এ এলাকার মানুষের গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। মরা শিমুল গাছটি যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ওই মরা শিমুল গাছটি দির্ঘদীন যাবত রোদে পুড়ে ও বৃষ্টির পানিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া স্থানীয় কিছু মানুষেরা মরা শিমুল গাছের ছাল ও ডাল ভেঙ্গে নিয়ে গিয়ে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বটতলা বাজারের হাসপাতালের বাউন্ডারির পাশে শতবর্ষীর মরা শিমুল গাছটি কোন রকমে দাড়িয়ে আছে। ওই মরা গাছের নিচ দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন বাজারে আসা শত শত সাধারণ মানুষসহ ব্যবসায়ীরা চলাচল করে। ওই শতবর্ষীর মরা শিমুল গাছটি গোড়া দিকে কাঠ-পোকায় খেয়েছে, যা খুব অল্পতেই ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের প্রাণনাশের সম্ভবনা আছে। তাছাড়া ওই মরা শিমুল গাছটি কর্তৃপক্ষের নজরে না আসলে নিশ্চিত দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে।
মরা শিমুল গাছের নিচে মনোহারি দোকানে বেচাকেনা করে ব্যবসায়ী রাশেদ। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই গাছটি মরে গেছে। কিন্তু এটি এখান থেকে সড়াতে কারও কোন মাথা ব্যথা নেই। সবসময় একটা ভয়ে থাকি। যেকোন সময় এই গাছটি ভেঙে আমার দোকানের ওপর পরতে পারে। সম্প্রতি ঝড়ে এই গাছে কয়েকটি কান্ড বিদ্যুৎতের তারে পড়ে।
শতবর্ষী এই শিমুল গাছটি যেমন একসময় তার সৌন্দর্য বিলিয়ে মানুষকে আনন্দিত করত। কিন্তু গাছে মড়ক লাগার পর তা এখন তাদের গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি অতি দ্রুত এই গাছটি এখান থেকে অপসারণ করা না হলে বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
0 Comments