Header Ads Widget

 


মুক্তাগাছায় বাল্যবিবাহ ও শিশু শ্রম মুক্ত ইউনিয়ন ঘোষণা

 


বাবলু আকন্দঃ  ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ২০২৫ সালে বাল্যবিবাহ ও শিশু শ্রম মুক্ত ইউনিয়ন ঘোষণা ও উদযাপন অনুষ্ঠান জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, আতিকুল ইসলাম।অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন সিনিয়র ম্যানেজার, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, সেবাষ্টিয়ান পিউরীফিকেশন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ম‍্যানেজার,মুক্তাগাছা এরিয়া প্রোগ্রাম,ওয়ার্ল্ড ভিশন, রোলেন্ড গমেজ,ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন ডেপুটি ডিরেক্টর (আর,এম,সি), জেনি মিডলেন্ড ডি ক্রুজ।

ইসলামী ফাউন্ডেশন,মুক্তাগাছা, আলহাজ্ব মোঃসাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মুক্তাগাছা প্রেসক্লাব, মোঃ ইদ্রিছ আলী, উপজেলা যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা, শহীদুল ইসলাম ,উপসহকারী প্রকৌশলী বিএডিসি ও প্রশাসক কুমারগাতা ইউনিয়ন মোঃতারা মিয়া, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা,সালমা বেগম, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা,মানজুর আহামেদ পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা, আবু আহমেদ আব্দুল্লাহ , উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, হাসিনা জামান।


অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, শিক্ষক, অভিভাবক, শিশু প্রতিনিধি, ভিডিসি সদস্য, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন। শিশুদের অধিকার রক্ষায় সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ এ অনুষ্ঠানে নতুন মাত্রা যোগ করে।


প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম বলেন,“বাল্যবিবাহ ও শিশু শ্রম নির্মূল করা কেবল সরকারের কাজ নয়, বরং প্রতিটি পরিবার ও সমাজের সম্মিলিত দায়িত্ব। আমাদের সচেতনতা এবং প্রতিজ্ঞার মাধ্যমেই শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব।”


সভাপতির বক্তব্যে সেবাষ্টিয়ান পিউরীফিকেশন বলেন,“ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে শিশু সুরক্ষা ও অধিকার নিয়ে কাজ করছে। মুক্তাগাছায় বাল্যবিবাহ ও শিশু শ্রম মুক্ত ইউনিয়ন ঘোষণা এই অঞ্চলের শিশুদের জন্য একটি ঐতিহাসিক অগ্রযাত্রা।”


উপজেলার দুল্লা ও কুমারগাতা ইউনিয়ন কে শিশুশ্রম মুক্ত  ঘোষণা করা হয় এবং ঘোগা,কুমারগাতা ও মুক্তাগাছা পৌরসভা কে বাল্য বিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয়।


বক্তারা বলেন, বাল্যবিবাহ ও শিশু শ্রম মুক্ত সমাজ গঠনে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি। এ ধরনের উদ্যোগ শিশুদের সুরক্ষা ও তাদের শিক্ষা অধিকার নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।এ উদ্যোগ শিশুদের শিক্ষার অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বড় ভূমিকা রাখবে। শিশুদের শৈশব হতে হবে শিক্ষা, খেলাধুলা ও সৃজনশীলতার জন্য, শ্রম বা অকালবিবাহের জন্য নয়।

অনুষ্ঠান শেষে শিশুদের জন্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও সচেতনতা মূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

Post a Comment

0 Comments