বাবলু আকন্দঃ আয়মন নদী খননে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান করেছে এলাকাবাসী। শনিবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ’মি) র্কাযালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তারা কি পরিমান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তার বর্ণনা দিয়ে বক্তব্য রাখেন। ভোক্তভোগী পরিবারের পক্ষথেকে এসিল্যান্ডের কাছে গনস্বাক্ষর ও স্বারকলিপি প্রদান কারা হয়। সহকারী কমিশনার (ভ’মি) ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ^াস দিলে তারা কর্মসূচি শেষ করে।
সরেজমিনে আয়মন নদীর তীরবতী এলাকা ঘুরে দেখায়ায় বিআইডবিøউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে আয়মন নদীর নির্দিষ্ট এলাকা খনন কার হয়। নদী খননের মাটি নদী পাড়ে বসতবাড়ীর আঙ্গিনায় স্তুপ করে রাখা আছে। এরই মাঝে উপজেলা প্রশাসন নদী পারের মাটি নিলামে বিক্রির উদ্যোগ গ্রহন করে। আমার মাটি আমি চাই, মাটি নিলাম বন্ধ চাই এই ¯েøাগানে উপজেলার আমোদপুর, কান্দিগাও, দত্তপাড়া, শ্যামপুর, সোনাপুর, পয়ারকান্দি এলাকাবাসী মানবরন্ধন করে।
এসময় ভুক্তভোগী শাহাদাৎ মিয়া, আবু হানিফ, লিটন খান, সুলাইমান, আব্দুল জলিলসহ অনেকেই জানায় নদীর দুইপাশে^ মাটি রাখার কারণে কৃষি খেতের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। মাটি রাখার জন্য আমাদের বসতবাড়ি ভেঙ্গেদেয়া হয়েছে। নদী খননের কারনে প্রায় ১০ হাজার মানুষ তাদের ঘর-বাড়ি হারিয়ে ক্ষেতের মধ্যে পলিথিন দিয়ে ঘর বানিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা, নেই স্যানিটেশনের কোনো সুযোগ। শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতী নারীসহ অসুস্থ মানুষগুলো এমন অমানবিক পরিবেশে কীভাবে টিকে আছেন তা বর্ণনাতীত। মা-বোনের নিরাপত্তা নিয়ে দেখা দিয়েছে গভীর উদ্বেগ। মহিলারা খোলা জায়গায় টয়লেট করতে বাধ্য হচ্ছেন, যা মর্যাদা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, মাটি ফেলার নামে বহু ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যারা ঘুষ দিতে পেরেছেন, তাদের ঘর অক্ষত রাখা হয়েছে, অথচ পাশের বাড়িগুলোর উপর মাটি ফেলে ভোগান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে করে মাটির চাপে দেওয়াল ধসের আশংকা বেড়েছে। যারা এখনো কোনো রকমে টিকে আছেন, তারাও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এদিকে ভূমি অফিস কর্তৃৃক মাটি নিলামের নামে এই অরাজকতার নিন্দা জানিয়ে এলাকাবাসী বলছেন, আইমন নদী খননে কোনো সঠিক নিয়ম মানা হয়নি। মৌজা ম্যাপ এবং সিএস নকশা দেখানোর দাবি উপেক্ষা করা হয়েছে। সরকারি খনন প্রকল্পে সঠিক সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি, যা নিয়ম বহির্ভূত। যারা বৈধ কাগজপত্র দেখে জমি কিনেছেন, তারাও এখন অবৈধ বলে চিহ্নিত হচ্ছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ’মি) লুবনা আহমেদ লুনা বলেন, আমি কিছুদিন হয়েছে এখানে এসেছি, ভুক্তভোগীদের সমস্যার বিষয়টি আমার জানা ছিলো না, আমি তাদের কথা শুনেছি। গনস্বাক্ষরসহ তাদের দাবিগুলোর একটা কপি হাতে পেয়েছি উপজেলা নির্বাহী স্যারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।##
0 Comments