বাবলু আকন্দঃ উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে এমপি হবার বাসনায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দ। শেষতক পূরণ হয়নি সেই বাসনা। লড়তে পারেননি ভোটে। জাতীয় পার্টির সাথে নির্বাচনী হিসেব নিকেশের ছকে দলকে আসন ছেড়ে দিতে হওয়ায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে হয় তাকে। নিজের নির্বাচন করতে না পারার কষ্ট ঘোচাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী কৃষিবিদ নজরুল ইসলামকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে মাঠে নামে আঁটঘাট বেঁধে। নিজের সংসদে যাবার সাধকে চাপা দিয়ে সমর্থিত প্রার্থীকে বিজয়ী করে পাঠান সংসদে। আসে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। কর্মী-সমর্থকদের চাহিদা মতো আবারও ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে মাঠে নামেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দ। প্রিয় নেতাকে বিজয়ী করতে নির্বাচনী মাঠে ঝাপিয়ে পড়েন কর্মী সমর্থকরা। শেষ পর্যন্ত গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে সবাইকে চমকে দিয়ে আকাশচুম্বি ভোটের ব্যবধানে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত তিনি।
দিন শেষে মুক্তাগাছা উপজেলার ১১৮ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১০৮টি কেন্দ্রেই সর্বোচ্চ ভোটে বিজয়ী হন তিনি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে তার প্রাপ্ত ভোট ৬৭ হাজার ২৯০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আরব আলী দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৩৮ ভোট। এদিকে তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নামা দুই প্রার্থীর জামানাত বাজেয়াপ্ত হয়।
এদিকে এই প্রবীণ নেতার বিশাল বিজয়ে উচ্ছাসে ফেটে পড়েন তার কর্মী-সমর্থকরা।
এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. জাহিদুল ইসলাম বিটুল। তিনি টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৮২৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. মাহমুদুল হাসান মুকুল মাইক প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ২৮২ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমুন নাহার দিলু পদ্মফুল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৫৯৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইসরাত জাহান তনু ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৫৫ ভোট।
0 Comments