ফুলবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় ফিল্মিস্টাইলে প্রবাসীর পিতাকে মারপিট করে মোটরসাইকেল ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত মামলার আসামীরা আদালত থেকে জামিনে এসে আবারও ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের লোকজনকে হত্যা ও এলাকা থেকে উচ্ছেদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার রাঙামাটিয়া ইউনিয়নের হাতিলেইট গ্রামের প্রবাসী হাসিবুল ইসলাম এর পিতা ভুক্তভোগী খোরশেদ আলম এ অভিযোগ করেন।
ঘটনার অনুসন্ধানে সরেজমিনে ভুক্তভোগী খোরশেদ আলম এর বাড়িতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত ১৩ জুন রাতে পার্শ্ববর্তী গ্রামে তার মামার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কেশরগঞ্জ টু গাড়োবাজার সড়কের ইদ্রিস ফকিরের দরগা সংলগ্ন রাস্তায় জায়েদুল ইসলাম বাবু, রুবেল মিয়াসহ তার অনুসারীরা পথরুদ্ধ করে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে হামলা করে তাকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে হিরো কোম্পানির ১০০ সিসি মোটরসাইকেল ও তার সঙ্গে থাকা ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আসামীরা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে তিনি জানান ।
পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর ও রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্বার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন। চিকিৎসা শেষে এ ঘটনায় জায়েদুল ইসলাম বাবু কে প্রধান আসামি করে এজহারনামীয় ৪ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন খোরশেদ আলম। প্রেক্ষিতে পুলিশ মোটরসাইকেল উদ্বারসহ ৩ নম্বর আসামি রুবেল মিয়া কে গ্রেপ্তার করেন। পরে এ মামলার আসামীরা জামিনে এসে আরও ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
তবে এঘটনায় অভিযুক্ত রুবেল মিয়া হুমকি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, জামিনে এসে তাকে ফোন দিয়েছিলাম হুমকির কোন কথা হয়নি বলে তিনি জানালেও মুঠোফোনে মামলার বাদীকে এলাকা ছাড়া করার একটি কথোপকথন পাওয়া গেছে।
হাসিনা খাতুন বলেন, ওই রাতে আমার স্বামী মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি আসার পথে দরগার সামনে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাকে হামলা করে টাকা পয়সা ও মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করায় আসামীরা আমার স্বামীকে আবারও মারধর ও আমাদেরকে বাড়ি ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছেন। এ ঘটনার পর থেকে আমরা খুব আতংকে দিন কাটাচ্ছে।
খোরশেদ আলমের বয়োবৃদ্ধ মাতা জায়েদা খাতুন ও বড় ভাই নওশের আলি তাদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রুকনুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি, খোঁজ নিয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
0 Comments