মুক্তাগাছা প্রতিনিধিঃ মুক্তাগাছায় মো. রিফাত (১২) নামের এক শিশু চালককে গলা কেটে হত্যা করে ভ্যানগাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। নিখোঁজের ৬দিন পর সোমবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বড়গ্রাম ইউনিয়নের নরকোনা গ্রামের একটি সরিষা খেতের মাঝখান থেকে মাটি খুড়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
নিহত রিফাত উপজেলার কাতলসার গ্রামের মো. মফিজুল ইসলামের ছোট ছেলে। সে কাতলসার শহিদ স্মৃতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। পড়ালেখার পাশাপাশি নিজের খরচ জোগাতে ভাড়ায় ভ্যানগাড়ি চালাত। এ ঘটনায় থানা পুলিশ মো. মিরাজ (১৭) নামে একজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, উপজেলার কাতলসার গ্রামের মো: মফিজুল ইসলামের ছোট ছেলে মো: রিফাত পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ালেখার পাশাপাশি অভাবের সংসারে অর্থের জোগান দিতে মাঝে মধ্যে ভাড়ায় ভ্যানগাড়ি চালাতো। গত ২৭ জানুয়ারি বিকালে পাশের বাড়ির এক লোকের অটো ভ্যানগাড়ী নিয়ে ভাড়ায় চালাতে বাড়ি থেকে বের হয়। এর পর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজে না পেয়ে গত ২৯ জানুয়ারি বড় ভাই আরিফ হোসেন বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। থানা পুলিশ তথ্যানুসন্ধানে নেমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে রবিবার রাতে উপজেলার জয়রামপুর এলাকার মো. শাহেদের ছেলে মোঃ মিরাজ(১৭) নামের একজনকে আটক করে।
পরে তার দেয়া তথ্যমতে পুলিশ সোমবার নরকোনা গ্রামের একটি সরিষা খেতের মাঝখান থেকে মাটি খুড়ে রিফাতের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিরাজ জানিয়েছে রিফাতকে একটি ধানের মিলের খলায় নিয়ে গলাকেটে হত্যা করে অটোভ্যানগাড়িটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে বস্তায় ভরে সরিষা ক্ষেতে গর্ত করে মাটি চাপা দিয়ে রাখে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সোমবার ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতেল পাঠিয়েছে।
মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন জানান, থানার জিডি হবার পর থেকেই পুলিশ ঘটনা অনুসন্ধানে নামে। একজনকে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যমতে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে। ঘটনার সাথে জড়িত বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বিষয়টি নিয়ে পিবিআইসহ পুলিশের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে।
0 Comments