মো: কামরুল হুদা আকন্দ (বাবলু):দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণার সাথে সাথেই বিভিন্ন অভিযোগ এসে ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবীতে বিক্ষোভ হয়েছে। মঙ্গলবার ঘোষিত কমিটিতে মাহমুদুল হাসান মাসুদকে সভাপতি ও ইমামুল হক ইমনকে সাদারণ সম্পাদক করা হয়েছে। কমিটি ঘোষণার খবরে রাতে থেকেই এ কমিটি বাতিলের দাবীতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শনের ঘটনা ঘটেছে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি এ কমিটিতে যাদের পদ পদবী দেওয়া হয়েছে তারা ইতিপূর্বে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে কোনদিন সম্পৃক্ত ছিল না। এ কমিটিকে তারা একটি মহলের পকেট কমিটি উল্লেখ করে তা দ্রæত বাতিলের দাবী জানিয়েছেন।
বুধবার বিকালে স্থানীয় ডাকবাংলোর মাঠে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে। পরে সেখান থেকে একটি মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে বিক্ষুব্দ নেতাকর্মীরা ময়মনসিংহ টাঙ্গাইল সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে তারা। ওইসময় ছাত্রলীগের ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন।
কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, মুক্তাগাছা ছাত্রলীগের কমিটিতে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। বিতর্কিত ও জামায়াত-বিএনপি থেকে উঠে আসা ছেলেদের দিয়ে করা হয়েছে এই কমিটি।
এর আগে শনিবার ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আল আমিন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন অলি স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে আগামী এক বছরের জন্য আংশিক কমিটি প্রকাশ করা হয়। সেই কমিটিতে সভাপতি করা হয় মাহমুদুল হাসান মাসুদ ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় ইমামুল হক ইমনকে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুভ দে, শহর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান বাবু, সাধারণ সম্পাদক ফাহিম সরকারসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, এই কমিটি অবৈধ। কমিটিতে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি।
দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্র রাজনীতি করে আসছি। আর আজ আমাদের বাদ দিয়ে যারা জামায়াত-বিএনপি থেকে উঠে এসেছেন, যাদের পরিবারের স্বজনরা বিএনপিকে সমর্থন করেন, তারা মুক্তাগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ পেলেন। এই কমিটিকে অযোগ্য ও পকেট কমিটি উল্লেখ করে দ্রæত তা বাতিলের দাবী জানান।
0 Comments