মোঃকামরুল হুদা আকন্দ (বাবলু) মুক্তাগাছা আব্বাছিয়া কামিল মাদ্রাসার মসজিদ ও মাদ্রসার পুরাতন ভবন প্রকাশ্য ডাকে বিক্রির জন্য দরত্র আহবান করা হয়। গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় প্রকাশ্য ডাকে আবেদনকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ডাক হাকলে উপস্থিত ঠিকাদাররা যে পরিমাণ মূল্য হাকান তাতে দরপত্র কর্তৃপক্ষ তাদের কাঙ্খিত মূল্য না পাওয়ায় দরপত্রটি বাতিল করেন। এ সময় উপস্থিত ঠিকাদাররা তাদের হাকনো মূল্যে কাজ না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশকরে আইনের আশ্রয় নিবে বলে জানায়।
জানাযায়, মুক্তাগাছা আব্বাছিয়া কামিল মাদ্রাসার ১তলা মসজিদ ও মাদ্রাসার পুরাতন ভবন বিক্রির জন্য গত ২৪ আগস্ট অত্র প্রতিষ্ঠানের মসজিদ ও মাদ্রাসার ইজারা ও ক্রয়-বিক্রয় উপ-কমিটির আহবায়ক স্বাক্ষরিত একটি দরপত্র বিজ্ঞপ্তি আহবান করা হয়। দরপত্রে কিছু শর্ত দিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে মসজিদ ও মাদ্রাসা প্রত্যেকটির জন্য আলাদা করে ৫০ হাজার টাকা স্বস্ব ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা দিতে বলা হয়। গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় ইজারা ও ক্রয়-বিক্রয় কমিটির আহবায়ক মোঃ আইয়ুব খান, প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ আবেদনকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে প্রকাশ্য ডাক হাকলে উপস্থিত ঠিকাদাররা যে দর-দাম করেন তাতে উপযুক্ত মূল্য না হওয়ায় ইজারা ও ক্রয়-বিক্রয় কমিটি দরপত্রটি বাতিল ঘোষণা করেন। প্রকাশ্য ডাকে সর্বোচ্চ দাম হাকানো হিমেল ট্রেডার্স ও মোঃ বিল্লাল হোসেন দরপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। তারা বলেন, প্রকাশ্য ডাকে সর্বোচ্চ দামে আমরা দরপত্র পেয়েছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে দিচ্ছে না।
এ বিষয়ে হিমেল ট্রেডার্সের স্বত্তাধীকার মোঃ ইব্রাহিম হিমেল বলেন, প্রকাশ্য দরপত্রে উপস্থিত ঠিকাদারদের মাঝে আমি সর্বোচ্চ দাম হাকালেও কর্তৃপক্ষ আমাকে না দিয়ে তা বাতিল করে দেয়। দরপত্রে উল্লেখিত কাজ আমাকে না দেওয়া হলে আমি আইনের দারস্থ হব।
এ বিষয়ে মসজিদ ও মাদ্রাসার ইজারা ও ক্রয়-বিক্রয় উপ-কমিটির আহবায়ক মোঃ আইয়ুব খানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দরপত্রে অনেকেই উপস্থিত থাকলেও স্থানীয় কয়েক জনে ডেকেছে। এতে প্রতিযোগিতা মূলক ডাক হয়নি। তাছাড়া যে কোন কারণে কর্তৃপক্ষ দরপত্র বাতিল করতে পারবে এমন শর্ত বিজ্ঞাপ্তিতে বলা আছে।
0 Comments