বাবলু আকন্দঃখেলোয়াড় বাছাই নিয়ে দ্বন্ধে মুক্তাগাছায় বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা অনুর্ধো ১৭ ফুটবল ফাইনাল খেলা পন্ড হয়ে গেছে। মঙ্গলবার বিকেলে পৌর একাদশ বনাম ঘোগা ইউনিয়ন পরিষদের মাঝে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।
বিকেলে খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্বেই পৌর একাদশ প্রতিদ্বন্দ্বে দলের দুইজন খেলোয়াড় নিয়ে আপত্তি জানায়। এতেই শুরু হয় জটিলতা। বিরতির আগে ওই দুইজন খেলোয়াড় খেলতে পারবে না শর্তে শুরু হয় খেলা। পরে প্রথমার্ধ খেলা শেষ হয় গোল শূণ্য। দ্বিতীয়ার্ধে ঘোগা ইউনিয়ন ওই দুইজন খেলোয়াড় মাঠে নামাতে গেলে হয় বিপত্তি। এতে পৌর একাদশের খেলোয়াড় ওই দুই প্লেয়ার নিয়ে খেলা খেলবে না বলে আপত্তি জানায়। অপরদিকে ঘোগা ইউনিয়ন পূর্বের সমঝোতা মোতাবেক ওই দুইজন প্লেয়ার ছাড়া খেলবে না বলে মাঠ ত্যাগ করে। সেখানেই যত বিপত্তি। উৎসুক জনতা শুরু করে দৌড়াদৌড়ি। দুইপক্ষের দর্শকদের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ চেষ্টা চালায়। এসময় দৌড়াদৌড়ি শুরু হলে কয়েকজন দর্শক আহত হন। আহতদের মুক্তাগাছা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠিত খেলায় উপজেলা নির্বাহি অফিসার মাহমুদা হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দ ও মুক্তাগাছা পৌরসভার মেয়র মো. বিল্লাল হোসেন সরকার। অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) তানভীল হায়দার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বিটুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার দিলু, থানার ওসি (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না, দুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান মো. হোসেন আলী হুসি, দাওগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার জামাল উদ্দিন বাদশা, ঘোগা ইউপি চেয়ারম্যান মো. শরীফ আহমেদ, খেরুয়াজানী ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশীদসহ পৌর কাউন্সিলরগণ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে খেলায় বিশৃংখলার জন্য আয়োজক কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও অদক্ষতাকে দায়ী করেছেন উপস্থিত সুধিজন। একাদিক দর্শক জানান খেলায় অনুর্ধ -১৭ বয়সের খেলোয়ার এবং মুক্তাগাছা উপজেলার স্থায়ী খেলোয়ারদের অংশ নেয়ার নিয়ম থাকলেও শুরু থেকেই আয়োজক কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে অধিক বয়সের খেলোয়াররাও অংশ নিয়েছেন।
0 Comments